কাঁচা মরিচের কেজি উপজেলায় ১০, জেলায় ৬০

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এক মাস আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। এখন সেই কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। 

এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বৃদ্ধি ও চাহিদা কম থাকায় মরিচের দাম কমেছে। দাম কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস কাঁচা মরিচ ক্রেতাদের।  

পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর, মন্মথপুর  ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে এবার কাঁচা মরিচের চাষ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। তবে দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।

চন্ডিপুর ইউনিয়নের মরিচ চাষি আশরাফ আলী বলেন, মরিচের বীজ তো বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খরচ পুষিয়ে উঠবে ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন তো ৫-৬ টাকা কেজিতে পাইকারদের কাছে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।  

পার্বতীপুর বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতা অশোক কুমার দাস বলেন, আমরা ৬-৭ টাকা কেজি দরে আড়তে কাঁচা মরিচ কিনছি। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ থাকায় ৮ টাকায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা ১০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছে। এবার বাজারে সরবরাহ ভালো আর চাহিদা কম থাকায় মরিচের দাম কমেছে।  

ওই বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, হুট হাট করেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও এখন দাম অনেক কম। নিত্যপণ্যের দাম কম হলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হয়।  

এদিকে জেলার বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।  

বাহাদুর বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতারা বলেন, বেশিরভাগ কাঁচা মরিচ বাইরের উপজেলা থেকে বাজারে আসছে। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বেশি। তাই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।